শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ॥
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া মহাদেশের প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে বালু খেকুদের উত্তোলিত যন্ত্র ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন।মঙলবার(২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়ন এলাকার ইন্দ্রিরা ঘাটে ভ্রাম্যমানআদালত পরিচালনা করে এক লক্ষ ঘনফুট উত্তোলিত বালু জব্দ করে। বালু উত্তোলনের যন্ত্র ড্রেজার মেশিন আগুনে পুড়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়। সন্ধ্যা হলে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী হালদা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বালু উত্তোলন করে। যার ফলে হালদার পাড় ভেঙ্গে স্থানীয় জনবসতির পরিবার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।
প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র এ হালদা নদীটিতে প্রতি নিয়ত একদিকে মা মাছ নিধনের জন্য ভাসা জাল ব্যবহার করছে অন্যদিকে প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে গভীর রাতে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন গভীর রাতেও অভিযান পরিচালনা করে ভাসা জাল, ঘেরা জাল, জব্দ করে ধ্বংস করেছে ৭১ হাজার মিটার সহ ধ্বংস করেছে বালু উত্তোলিত যন্ত্র ড্রেজার মেশিন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন বলেন, সংবাদ পেয়ে হালদা নদীর ইন্দ্রিরা ঘাটে বালু উত্তোলনের সময় একটি ড্রেজার জব্দ করে ধ্বংস করে দেয়া হয়। উত্তোলিত এক লক্ষ ঘনফুট বালু জব্দ করে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কে বুঝিয়ে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই একটি প্রভাবশালী মহল চালু করতো ড্রেজার, চলতো গভীর রাত পর্যন্ত, নদী ভাঙন ছাড়াও ড্রেজারের প্রচন্ড শব্দে স্থানীয়দের অবস্থা ছিল শোচনীয়। ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন করা সহ অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরোদ্ধে অভিযান কঠোরভাবে চলবে।অভিযানে পরিচালনার সময় হাটহাজারী মডেল থানার এ এস আই কামরুজ্জামান ও তার সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্যঃ- উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে রুহুল আমিন যোগদানের পর থেকে গত ১৪ মাসে হালদায় ৭১ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এসব অভিযানে ১ লাখ ৭১ হাজার মিটার ভাসা জাল, ঘেরা জাল জব্দ করা সহ ৬ টি ড্রেজার এবং ১২ টি বালু উত্তোলনকারী নৌকা ধ্বংস করা হয়।একাধিক ব্যক্তিকে কারাদ- ও অর্থদ- দেয়া হয়েছে।